বিষয়ঃ ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার।
জামালপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-১) এর চৌকস একটি টিম পৃথক দুটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ দুই আসামিকে গাজীপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
১ম ঘটনা: নাবালিকা ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
জামালপুর সদর থানাধীন দড়িপাড়া বাইপাস মন্ডলবাড়ী এলাকায় এক নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক (৫২) কে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বউবাজার রেললাইন সংলগ্ন এলাকা হতে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ গ্রেফতার করা হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই মোঃ আব্দুল্লাহ আল আজাদ এবং এসআই মোঃ আতিকুর রহমান, ডিবি-১ জামালপুর। জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ নাজমুস সাকিব-এর নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত আসামি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা ও মাঠ গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
২য় ঘটনা: ইসলামপুর থানার হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
একই দিনে, ডিবি-১, জামালপুর এর একই টিম ইসলামপুর থানার একটি নৃশংস হত্যা মামলার ৪নং এজাহারভুক্ত আসামি মোঃ নুরুজ্জামাল (৩৮), পিতা-মোঃ সাহেব আলী, সাং-সাজিমারা (গোয়ারপাড়া), থানা-বকশীগঞ্জ, জেলা-জামালপুরকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক সংলগ্ন লগোচ কোম্পানির সামনে হতে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ গ্রেফতার করে।
উক্ত হত্যা মামলায় ভিকটিম মোঃ মমিনুল ওরফে মনিরুল (স্বামী-মোছাঃ মনিরা, সাং-বোলাকীপাড়া, ইসলামপুর) কে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে গুম করা হয়েছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে বন্ধুরা রাতে নৌকায় ডেকে নিয়ে যায়, পরে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হয়।
পুলিশের মন্তব্য
পুলিশ সুপার, জামালপুর জনাব সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা বলেন..
জামালপুর জেলা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, মাদকসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দুইটি পৃথক গুরুতর মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রমাণ করে যে কোনো অপরাধীই আইনের বাইরে থাকতে পারবে না। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের পেশাদারিত্ব ও তৎপরতা প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন..
অফিসার ইনচার্জ, জামালপুর সদর থানা জনাব মোঃ নাজমুস সাকিব এবং ডিবি-১, জামালপুর টিমের নেতৃত্বে দ্রুত অভিযানের মাধ্যমে একদিনেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে, যা জেলা পুলিশের দক্ষতা ও অঙ্গীকারের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।