
পঞ্চগড় প্রতিনিধি তোতা মিয়া,
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পঞ্চগড় বোদা উপজেলার ৭ নং চন্দনবাড়ি বালাবাড়ি গ্ৰামের মমতাজ আলী এর পুত্র নুর আলম (৩৩) এর সাথে, পারিবারিক ভাবে দেবিগঞ্জ উপজেলার ৩ নং দেবী ডুবা ইউনিয়নের মৃত রফিকুল ইসলাম, এর কন্যা রেহেনা আক্তার (২২), এর সাথে ৯ জুন ২০২২ সালে, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের পর থেকে রেহেনা আক্তারের, সংসার সুখেই চলছিল। বছর ঘুরে রেহেনার কোলে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। হঠাৎ রেহানার স্বামী নুর আলম, রেহেনাকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে ইতিমধ্যে যৌতুকের টাকার জন্য রেহেনাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
রেহেনার বিধবা মা নুরেজা খাতুন, ওই মুহূর্তে টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে না পাঠিয়ে তার বাড়িতেই রেখে দেন। এক মাস পেরিয়ে গেলে নূর আলম, নিজেই তার শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রী রেহেনা আক্তার কে নিয়ে যায়। রেহেনাকে নিয়ে যাওয়ার তিনদিন পর রেহেনার দুলাভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলেন রেহেনা গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আপনি একটু দেখেন আমি বিশেষ কাজে রংপুরে যাচ্ছি।
এমন তা অবস্থায় রেহেনার মা ও তার পরিবারের লোকজন ছুটে যায় নুর আলমের বাসায়, সেখানে গিয়ে দেখে তাদের মেয়ে বাসায় নেই ফাসি থেকে নামিয়ে দ্রুত পঞ্চগড় বোদা থানায় নিয়ে আসে। মেয়ের বাবার বাড়ির লোকজন থানায় পৌছাতে না পৌঁছাতেই লাশের সুরতহাল পরীক্ষা করে, মনগড়া ইউডি মামলা সাজিয়ে রেহানার মরোদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
ময়নাতদন্ত শেষে রেহানার মা ও তার আত্মীয়-স্বজনরা তার মেয়ের লাশ দাফন করার জন্য রেহানার বাবার বাড়ি নিয়ে আসে। এবং রেহেনার আক্তারের মরোদেহ গোসল করানোর সময় লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায়। পরে রেহানার মা নুরেজা খাতুন বাদী হয়ে পঞ্চগড় বোদা থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন ও এস আই মনজুরুল মামলা নিতে অস্বীকার করে।
পরে আবার কি বুঝে মামলাটি আমলে নেয়। ভুক্তভোগীর কথা মতে জানা যায় লাশ ময়নাতদন্তের পর মনগড়া রিপোর্ট সাজিয়ে মামলা তৈরি করেছে। এবং পরে লাশ মা নুরেজা খাতুন, এর কাছে হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগী নুরেজা খাতুন ও তার পরিবার ওই মামলার কোন সুবিচার না পাওয়ায় পরবর্তীতে নুরেজা খাতুন, বাদী হয়ে পঞ্চগড় কোটে মামলা করেন। এবং পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী মামলার ফলাফল আত্মহত্যা বলে জানালে মামলাটি ঝিমিয়ে পড়ে।
মামলাটির সুবিচার না পেয়ে অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী নুরেজা খাতুন গণমাধ্যম কর্মীদের শরণাপন্ন হয় যাতে করে তার মেয়ের পুনরায় ময়নাতদন্ত করে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়। এই দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী নুরেজা খাতুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এবং বলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, আর অর্থের বিনিময়ে মামলা অন্যদিকে প্রবাহিত করছে মামলার আয়ু এসআই মনজুরুল। আমি তারও বিচার চাই।